1. zunaid365@gmail.com : Natore Times :
সংবাদ শিরোনাম :
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে: দুলু সিংড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষ রোপন ও বিতরন তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন: হোয়াইট হাউস ‘দেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই আমার সন্তানের আত্মদান সার্থক হবে’- শহিদ মানিকের বাবা লা লিগা: দারুণভাবে ফিরে এসেও মাদ্রিদের সাথে পেরে উঠেনি আলাভেস দশ বছরের জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের ফের নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা শত শত অবৈধ ব্লাড ব্যাংকে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বিক্রি

বাংলাদেশের সহায়তা নিতে হতে পারে পাকিস্তানকে

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১

২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি পাকিস্তানের দ্বিগুণ হবে, এই কথা রীতিমতো অচিন্তনীয় ছিল। এখন যে গতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগোচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে তারা। তুলনায় পাকিস্তানের অবস্থা তথৈবচ। তারা এর মধ্যে ভালো করতে না পারলে এমনও হতে পারে যে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চাইতে হতে পারে তাদের।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান সম্প্রতি পাকিস্তানের দ্য নিউজ ডটকমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব কথা বলেছেন।

আবিদ হাসান বলেছেন, পাকিস্তানের দুর্দশার কারণ দেশটি নিজেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, নেতারা এই ভুল স্বীকার করতে চান না। বরং তাঁরা শত্রুদেশ এবং বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। সন্দেহ নেই, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ পাকিস্তানের জন্য যেসব নীতি প্রণয়ন করে, তার মধ্যে অনেকগুলোই খুব বাজে চিন্তার ফসল। তারা সব সমস্যার জন্য এক সমাধান খুঁজে থাকে—সর্বরোগের মহৌষধ খোঁজার মতো ব্যাপার। জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির কারণে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিক, কিন্তু আবিদ হাসান মনে করেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভুল নীতির কারণে—দায়িত্বজ্ঞানহীন, অযথাযথ ও আগুপিছু না ভেবে প্রণীত নীতির কারণে। সবচেয়ে বাজে দুটি কাজ হলো, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উৎস থেকে পাওয়া ঋণ নিয়ে অতিরিক্ত ব্যয় এবং রপ্তানির তুলনায় অনেক বেশি আমদানি।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে মিল অনেক। ধর্ম, নৈতিক অবনমন, বিশৃঙ্খল রাজনীতি, সুশাসনের অভাব, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়া—এসব দিক থেকে দুই দেশের অনেক মিল। কিন্তু মাত্র দুই দশকে বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। গত ২০ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৫০০ শতাংশ বেড়েছে।

আবিদ হাসান লিখেছেন, প্রতিটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের নিজস্ব বয়ান আছে। তবে যারা ভালো করে, তাদের সবার মধ্যে একটি অভিন্ন ব্যাপার দেখা যায়। সেটা হলো, ওয়াশিংটন কনসেনসাস নীতি মেনে চলা। রাজস্ব ও মুদ্রানীতির গভীরতা, উদারীকরণ, রপ্তানিতে জোর দেওয়া, দারিদ্র্য বিমোচনমুখী নীতি, বাণিজ্যে সরকারের ভূমিকা হ্রাস ইত্যাদি। আরেকটি কৌতূহলোদ্দীপক দিক হলো, যেসব দেশ ভালো করেছে, সেই সব দেশই উচ্চ মাত্রার দুর্নীতি ছিল।

বাংলাদেশের নীতিগত একটি দিক হলো ভোগের চেয়ে সঞ্চয়ে বেশি জোর দেওয়া। দেশটির সঞ্চয়ের পরিমাণ জিডিপির ৩০ শতাংশের মতো, যেখানে পাকিস্তানে তা মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। কিন্তু পাকিস্তান অতিরিক্ত ব্যয় করে ফেলেছে।

পাকিস্তান সরকারের ঋণ এখন সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রায় ৬ গুণ। সরকার ঋণ করার কারণে বেসরকারি খাত ঋণ করতে পারে না।

আবিদ হাসানের মত, বাংলাদেশের কাছ থেকে সহায়তা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি পাকিস্তান এড়াতে চাইলে যা করতে হবে তা হলো, বাংলাদেশের পথ অনুসরণ করা। সফলতার পথ বন্ধুর। দরকার রাজস্ব ও মুদ্রানীতিতে প্রজ্ঞার পরিচয় দেওয়া।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com