প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যদি বিচারপ্রার্থী জনগণকে ন্যায় বিচার দেওয়া যায় তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ হবে। তিনি বলেন, বিচারের নামে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখাও বিচারকদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে আমাদের সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত বিশেষ ফুলকোর্ট সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আয়োজিত এই ফুল কোর্ট সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ অংশ নেন। বেলা ৩ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এই ফুল কোর্ট সভা চলে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদেরকে সংবিধান উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। যা বিশ্বে বিরল। তিনি বলেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা সবসময় বঙ্গবন্ধুকে পীড়া দিত। সেজন্য মানুষ যাতে সহজে বিচার পায় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন। সেই মতামতে বিচার ব্যবস্থার নানা দিক উঠে আসে। বিচারপতিরা বলেন, সাধারণ মানুষের দোড়গোরায় দ্রুততার সাথে কিভাবে বিচার পাইয়ে দেওয়া যায় সেদিকটা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। মামলা দায়েরের পর বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু বিচারপ্রার্থীরা বিচারের আশায় ঘুরে বেড়ায়। কিভাবে এই অবস্থার পরিবর্তন আনা যায় সেদিকটা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply