1. zunaid365@gmail.com : Natore Times :
সংবাদ শিরোনাম :
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে: দুলু সিংড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষ রোপন ও বিতরন তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন: হোয়াইট হাউস ‘দেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই আমার সন্তানের আত্মদান সার্থক হবে’- শহিদ মানিকের বাবা লা লিগা: দারুণভাবে ফিরে এসেও মাদ্রিদের সাথে পেরে উঠেনি আলাভেস দশ বছরের জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের ফের নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা শত শত অবৈধ ব্লাড ব্যাংকে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বিক্রি

এগিয়ে যাওয়ার টার্গেট

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১

কাওসার রহমান ॥ দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন। অর্থমন্ত্রীর এ বাজেটের লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারী করোনার ক্ষতি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, স্বাস্থ্য খাতের প্রয়োজন মেটানো এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আর আগামী অর্থবছরের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অর্থমন্ত্রী চলমান করোনা মহামারীকে বিবেচনায় নিয়েছেন। মূল বাজেটের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অর্থমন্ত্রী তার উন্নয়ন কর্মসূচীতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কৃষি ও কর্মসৃজনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এছাড়া এই প্রথম কোভিড-১৯-এর প্রভাব মোকাবেলায় প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

অর্থমন্ত্রীর এবারের বাজেট মূলত মহামারী করোনাকে ঘিরেই। সবকিছুতেই বাজেটে অগ্রাধিকার পেয়েছে করোনা। বাজেটে করোনার ক্ষতি থেকে যেমন অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ আছে, তেমনি করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের জীবন বাঁচানোরও উদ্যোগ রয়েছে। রয়েছে করোনা থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য টিকার বিষয়টিও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ অনেক বেড়েছে। এ খাতে আগামী বছরের জন্য অর্থমন্ত্রী যে বরাদ্দ রেখেছেন তার মধ্যে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকাই বরাদ্দ রেখেছেন সামাজিক নিরাপত্তা খাতে। এই অঙ্ক মোট বাজেটের প্রায় ১৮ শতাংশ। নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ভাতাভোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে আরও প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ গরিব মানুষ সরকারের সহায়তা পাবে। এতদিন এই ভাতা পাচ্ছিলেন ৮৮ লাখ গরিব, অসহায় মানুষ। নতুন করে সুবিধাভোগীর সংখ্যা যোগ হলে ভাতা পাওয়া গরিবের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। একইভাবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য নতুন বাজেটেও থোক বরাদ্দ হিসেবে ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এবারের বাজেটও দেশ ও জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষ- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও তাদের জীবন জীবিকা।’

এই বাজেট ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বাজেটেরও সুবর্ণজয়ন্তী হলো। ১৯৭২ সালের জুন মাসে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য ৭৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করে বাংলাদেশের যে বাজেটের গোড়াপত্তন করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার দেশের ৫০তম বাজেট ঘোষণা করলেন। সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বাংলাদেশের বাজেটের আকারও ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক যে বাজেটের প্রস্তাব করেছেন তার আকার দাঁড়াচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা দেশের মোট জিডিপির ১৭.৫ শতাংশ। এই বাজেটে পরিচালনসহ অন্য খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।

এই ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১১.৩ শতাংশ। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) উৎস থেকে পাওয়া যাবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে আরও ৪৩ হাজার কোটি টাকা।

করোনা মহামারীর কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে এক প্রকার স্থবিরতার কারণে রাজস্ব আদায় পিছিয়ে পড়েছে। ফলে নতুন অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী আর খুব বেশি উচ্চাভিলাসী হননি। মোট রাজস্ব আদায়ের প্রাক্কলন চলতি অর্থবছরের কাছাকাছি রাখা হয়েছে। বরং দেশের রাজস্ব আদায়ের যে বড় উৎস জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার সমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ করোনার কারণে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে বেশি জোর না দিয়ে অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরে বিদেশী অর্থায়নের দিকে বেশি জোর দিয়েছেন। ফলে অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর এবং নতুন কাস্টমস আইন ২০২০ সংসদে পাস হলে আগামী অর্থবছরের রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

এছাড়া অর্থমন্ত্রী আয়কর আদায় বাড়াতে ধনীদের ওপর নজর দিয়েছেন। করোনাকালে সাধারণ জনগণের ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে সমাজে যারা বিত্তবান, তাদের কাছ থেকেই বেশি কর আহরণে জোর দিয়েছেন। এ জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পদশালীদের ওপর সারচার্জ বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সারচার্জ আদায় প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে।

দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ কর প্রদানে সক্ষম হলেও কর প্রদানকারীর সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ২৫ লাখ ৪৩ হাজার। ফলে রাজস্ব জিডিপির অনুপাতে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। তাই আগামী অর্থবছরে এই কর ফাঁকি রোধ করে কর জাল আরও বিস্তৃত করা হবে, যাতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট ব্যয় এবং রাজস্ব আয়ের মধ্যে বড় ব্যবধানের কারণে আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। বিশাল এই ঘাটতি মেটানোর জন্য অর্থমন্ত্রী বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ দুই উৎসের ওপরই সমানভাবে নির্ভর করেছেন। ঘাটতি মোকাবেলায় বৈদেশিক উৎস থেকে আগামী অর্থবছরে এক লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে অর্থমন্ত্রী আশা করছেন। আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেয়া হবে ৩৭ হাজার ১ কোটি টাকা।

করোনা ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব মোকাবেলায় জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে ঘোষণা করা এই বাজেটে অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের মাধমে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। বিগত এক দশকে দেশের ক্রমাগত উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আশা করেছিলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে চলতি অর্থবছরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। এজন্য মূল বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮.২০ শতাংশ। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে অর্থনীতি শ্লথ গতি অব্যাহত আছে। আমদানি-রফতানিও কাক্সিক্ষত গতি ফিরে পায়নি। তাই প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি এবং সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়ন বিবেচনায় নিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ডিজিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন সংশোধন করে ৬.১ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কোভিড-১৯ পরবর্তী উত্তরণ বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.২ শতাংশ। এ সময়ে মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে বলে অর্থমন্ত্রী আশা করছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ অনেক দিক দিয়ে বদলে গেছে। কেবল বদলায়নি বঙ্গবন্ধুর চিরঞ্জীব আদর্শ এবং জাতির জীবনের সর্বক্ষেত্রে তার সজিব উপস্থিতি। তার নির্দেশিত পথেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে বিশ্বসভায় এক অনন্য উচ্চতায়।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি জাতির পিতার তুলিতে আঁকা স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে অনেক দূর- বহু দূর, বহু দূর-নিরন্তর।’

সংশোধিত বাজেট ॥ করোনা মহামারীর কারণে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারী ব্যয় হয় বার্ষিক বরাদ্দের মাত্র ৩৩.৫ শতাংশ। অন্যদিকে রাজস্ব আয় হয় বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৪১ শতাংশ। ফলে চলতি অর্থবছরের বাজেট সংশোধন ও সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রী তার নতুন অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে চলতি অর্থবছরের একটি সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেছেন।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ ব্যয় ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা হ্রাস করে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে ৭ হাজার ৫০২ কোটি টাকা হ্রাস করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা।

তবে করোনার কারণে চলতি বছর স্বাস্থ্য খাতে এবং বিভিন্ন প্রণোদনা বাস্তবায়নে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এই দুই ব্যয় সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় হ্রাস পেয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। জুলাই-ফেব্রযারি সময়ে রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা হ্রাস করে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফলে সংশোধিত বাজেটেও ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.১ শতাংশ। মূল বাজেটে ঘাটতির বিপরীতে বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়নের প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। যা সংশোধিত বাজেটে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকায়। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অর্থায়নের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা।

এর আগে, দুপুরে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়। দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম ব্লকের দ্বিতীয় তলায় মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক হয়। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এতে অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে খয়েরি ব্রিফকেস হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ কক্ষে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই ব্রিফকেসেই ছিল আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট।

করোনাভাইরাসের কারণে কম সংখ্যক সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে দেশের ৫০তম বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল সদস্য অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন তাদের আসতে হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com