চলনবিলের আত্রাই ও গুড় নদীতে স্রোতিজাল স্থাপনের লক্ষ্যে কাঠের খুঁটি, সিমেন্টের পিলার, বানার বাঁধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সিংড়াবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, যেখানেই স্রোতিজাল স্থাপনকারীদের দেখা যাবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। জনগণের জান মাল রক্ষায় অপরাধীদের সাথে কোন আপোষ নেই। সিংড়াবাসীর পাশাপাশি স্রোতি জালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
পলক বলেন, বিগত ২০১৭ ও ২০১৯ আত্রাই ও গুড়নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু অসাধু ব্যক্তি অবৈধ সৌঁতিজালের বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ রোধ করার কারণে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্নক অবনতি হয়। বন্যার কারণে সিংড়া পৌরসভার হাট বাজারসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড, শেরকোল, চামারী, কলম, তাজপুর, ইটালি ও চৌগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যায় সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া, তাজপুর ইউনিয়নের চক নওগাঁ, হিয়াতপুর, কলম ইউনিয়নের কলকলি বাঁধ ভেঙে মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে যায় এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাঁধ ভাঙ্গনের কারণে এখন পৌরসভার শোলাকুড়া মহল্লায় প্রায় ১০০ পরিবার বাড়িঘর হারিয়ে এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হবে। তাই সিংড়াবাসীর প্রতি অনুরোধ আপনারা যখন আত্রাই ও গুড় নদীতে অবৈধ সৌঁতিজাল স্থাপনের লক্ষ্যে স্থায়ী অস্থায়ী স্থাপনা (কাঠের খুঁটি, সিমেন্টের পিলার, বানার বাঁধ) নির্মাণ করতে দেখবেন সেখানেই কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply