চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আশীর্বাদরুপে ধরা দিয়েছে রোববারের কালবৈশাখী ঝড়। তীব্র বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছুটা নুইয়ে পড়া ছাড়া ক্ষতি হয়নি মৌসুমের বড় আবাদ বোরো ধানের। বরং পরিমিত বৃষ্টিতে কৃষকের দীর্ঘদিনের সেচ সমস্যা কিছুটা লাঘব হয়েছে। পাট, তিল, করলাসহ বিভিন্ন ফসলের জন্য পরিমিত বৃষ্টিপাত দরকার ছিলো বলে মনে করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সিংড়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৩৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রোববার বিকেলের কালবৈশাখী ঝড়ে ৮০০ হেক্টর জমির বোরো ধান নুয়ে পড়েছে।
সোমবার উপজেলার ছাতারদিঘী ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ বোরো ক্ষেতের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ও দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় ধানের শীষ নুয়ে পড়েছে। এসময় কৃষকরা জানান, বৃষ্টি কম হওয়ায় ক্ষেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে, চলনবিলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় প্রকট পানি সংকটে ভুগছিলেন কৃষকরা। পানির অভাবে সেচ কাজ বেশ দুরুহ ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছিলো। সামান্য বৃষ্টি কিছুটা সেচের কাজ করেছে।
ইটালি ইউনিয়নের পাট চাষী আদম আলী বলেন, “পাটের জন্য বৃষ্টি উপকারে এসেছে। এক বিঘা জমিতে একবার সেচ দিতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা গুনতে হয়। এখন অন্তত কয়েকটা সেচ দিতে হবে না।”
কলম ইউনিয়নের তিল চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন,”গত কয়েক বছর ধরেই চৈত্রের কালবৈশাখী ফসল নষ্ট করে। এবার মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি তিলসহ বেশকিছু শাকসবজি আবাদে পানির অভাব দূর করেছে।”
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, “রোববারের কালবৈশাখীর গতিবেগ এতোটাই বেশি ছিলো যে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। আমরা আজ দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করেছি। ৮০০ হেক্টর জমির ধান নুইয়ে পড়া ছাড়া ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। দু-একদিন রোদ পেলে ধানের শীষগুলো আবারও দাঁড়িয়ে যাবে।”
© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply