1. zunaid365@gmail.com : Natore Times :
সংবাদ শিরোনাম :
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে: দুলু সিংড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষ রোপন ও বিতরন তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন: হোয়াইট হাউস ‘দেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই আমার সন্তানের আত্মদান সার্থক হবে’- শহিদ মানিকের বাবা লা লিগা: দারুণভাবে ফিরে এসেও মাদ্রিদের সাথে পেরে উঠেনি আলাভেস দশ বছরের জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের ফের নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা শত শত অবৈধ ব্লাড ব্যাংকে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বিক্রি

নাটোরে অসহায় কৃষকের খেতের রসুন তুলে দিলো কিশোররা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়নের দূর্গাবাহারপূর গ্রামের এক অন্ধ কৃষকের এক বিঘা জমির রসুন তুলে দিয়েছে একদল কিশোর। ওই কৃষকের নাম কামাল হোসেন। ওই কিশোররা টিএমএসএস’র কিশোর ক্লাবের সদস্য। এই ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশংসিত হয়েছে কিশোররা। অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারা।

শনিবার(৩রা এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় কিশোর ক্ষেত থেকে রসুনগুলো তুলে দেয়।

জানা যায়, জমির মালিক কামাল হোসেন পেশায় ছিলেন বাস চালকের সহকারী। বাড়িতে তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে। এদের মধ্যে বড় মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে রয়েছে। স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে বাস করেন কামাল হোসেন। বছরখানেক আগে হঠাৎ করে তিনি চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করেন। প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও ধীরে ধীরে তার একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে তা সম্ভব হয়নি। একচোখে দেখতে না পাওয়ায় কামাল হোসেন বাসের চাকরি হারান গত বছর। তখন থেকে বাড়ির পাশের এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে রসুনের আবাদ করেন কামাল হোসেন। আহরণ উপযোগি হলেও শারীরিক দুর্বলতা ও শ্রমিকের মজুরী দিতে না পারার কারণে সপ্তাহখানেক ক্ষেতেই ছিলো রসুন। কিন্ত করোনা সংক্রমণ বাড়ায় অনিশ্চিত বিক্রির আশঙ্কায় রসুন তোলা জরুরী হয়ে পড়ে।

নাটোর টিএমএসএস’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, কামাল হোসেনের ছোট মেয়ে কনক আমাদের কিশোরী ক্লাবের সদস্য। সকালে কনক এসে জানায় বাবা অসুস্থ থাকায় ক্ষেতের রসুন তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বছরের এই আবাদ বিক্রির টাকায় তাদের অভাবের সংসার চলবে কিছুদিন। আমি বিষয়টি জানতে পেরে হরিশপুর কিশোর ক্লাবের সভাপতি তামিমকে ঘটনাটি জানাই। তামিমের ক্লাবের একদল কিশোরকে সাথে নিয়ে আমরা ওই কৃষকের ক্ষেতে যাই ও রসুনগুলো ক্ষেত থেকে তুলে দিই।’

কিশোরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অন্ধ কৃষক কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার এক চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার পর আমি কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়ি। শেষ সম্বল জমানো কিছু টাকা দিয়ে জমি বর্গা নিয়ে রসুন আবাদ করি। ছেলেরা তুলে না দিলে রসুনগুলো ক্ষেতেই পঁচে যেতো। ওদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।,’

বড়হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি বলেন, ‘অসহায় এক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কিশোররা মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।’

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com