নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামের রেজাউল ফুলজান দম্পত্তির ২২ দিনের বিক্রি হওয়া সেই শিশুটি ফিরে পেয়েছে তার মায়ের কোল।
জানা যায়-ভূমিহীন স্বামী রেজাউলের তিন সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার। হাত না চললে পেট চলে না তাদের। জীবন বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে এক সময় নিতে হয় ঋন।
নিরুপায় হতদরিদ্র পরিবার কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য কিছু টাকার বিনিময়ে ২২ দিনের শিশুকে দত্তক দেবার সিদ্ধান্ত নেয়।দুজনের সম্মতিতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রফিকুল কাছে নবজাতককে দত্তক দেয়া হয়।
এদিকে হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি গত সোমবার জানাজানি হলে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় “২২দিনের শিশুকে বিক্রি করে দিলেন বাবা” শিরোনামে সংবাদ প্রচার হয়। স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে একদিনের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।পরে পাবনা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে আজ দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদে এনে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
নবজাতকের মা- বাবা বলেন, অভাবের কারনে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছিলাম। সরকার থেকে প্রশাসনের লোকজন বাচ্চাকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেয়ায় খুব খুশি হয়েছেন বলেও জানান তারা।
এদিকে ভ্যানচালক রেজাউল-ফুলজান দম্পত্তিকে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদে ডেকে এনে থাকার জন্য মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে একটি ঘর, আর্থিক সচ্ছলতার জন্য একটি ভ্যান, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ভিজিডি কার্ড ও খাদ্য সামগ্রী উপহার দেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নগর ইউপি চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন ডালু সহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ
© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply