1. zunaid365@gmail.com : Natore Times :
সংবাদ শিরোনাম :
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে: দুলু সিংড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষ রোপন ও বিতরন তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন: হোয়াইট হাউস ‘দেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই আমার সন্তানের আত্মদান সার্থক হবে’- শহিদ মানিকের বাবা লা লিগা: দারুণভাবে ফিরে এসেও মাদ্রিদের সাথে পেরে উঠেনি আলাভেস দশ বছরের জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের ফের নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা শত শত অবৈধ ব্লাড ব্যাংকে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বিক্রি

বিশ্বে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

গত বছর কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সত্ত্বেও অল্প যে কয়েকটি দেশের প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয় বেশি আসে এমন শীর্ষ ১০ দেশের ৭টিতে গত বছর আয় কমেছে। আর তিনটি দেশে আয় বেড়েছে। দেশগুলো হলো মেক্সিকো, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। গত বছর ভারত, চীনের মতো দেশগুলোর প্রবাসী আয় কমেছে।

ইআইইউ প্রকাশিত ‘কোভিড-নাইন্টিন অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট রেমিট্যান্স : অ্যা হিডেন ক্রাইসিস লুমিং?’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেও ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে প্রবাসী আয় ছিল ১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর মেক্সিকোর প্রবাসী আয় বেড়েছে ৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৪ শতাংশ। গত বছর মেক্সিকোর প্রবাসী আয়ের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ১৫০ কোটি ডলার বেড়ে ৪ হাজার ৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। একইভাবে পাকিস্তানে ২০১৯ সালে ২ হাজার ২২০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। গত বছর তা বেড়ে ২ হাজার ৪১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও নিজ দেশে থাকা প্রিয়জনকে ভালো রাখতে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রচেষ্টার ফলাফলই এই তিনটি দেশের প্রবাসী আয় বৃদ্ধি। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণগুলো ভিন্নধর্মী। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ দুই দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের অনেকে তাদের চাকরি হারিয়ে নিজেদের জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। উপসাগরীয় দেশগুলোর শ্রমিকদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি ছিল। কারণ করোনার কারণে তেলের দাম কমে যাওয়া এবং পর্যটন ব্যবসায় ধস নামায় ওই অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতি সংকটে পড়েছে। আবার বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বেশি আসার আরেকটি কারণ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈধ উপায়ে দেশে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে। আবার বৈধভাবে টাকা পাঠালে প্রণোদনার হারও বাড়ানো হয়েছে, যা প্রবাসী শ্রমিকদের বৈধ উপায়ে দেশে টাকা পাঠানোর উৎসাহ বাড়িয়েছে।

এভাবে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির বিষয়টি সাময়িক। ২০২১ সালেই প্রবাসী আয় আবার পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।

অন্যদিকে গত বছর প্রবাসী আয় কমার তালিকায় আছে ভারত, চীন, ফিলিপাইন, মিসর, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম ও ইউক্রেন। সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় অর্জনকারী ভারতে আগের বছরের চেয়ে আয় কমেছে ৮০০ কোটি ডলারের মতো। ২০২০ সালে দেশটিতে প্রবাসী আয় এসেছে ৭ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার। অন্যদিকে চীনের প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালে দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। চীন, ভারত ও ভিয়েতনামে ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর প্রবাসী আয় কমেছে যথাক্রমে ১৩, ৯ ও ৮ শতাংশ।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com