নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন। তিনি বাগাতিপাড়া থানা বিএনপির আহবায়ক। পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠার পর ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ২০০৬ সালে প্রথম নিবার্চনে চেয়ারম্যান পদে নিবার্চিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে পদবী পরিবর্তন হয়ে মেয়র হন তিনি। এভাবেই প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পৌরসভার চেয়ারে তিনি আসীন রয়েছেন একটানা প্রায় ১৬ বছর। কেননা পৌরসভাটি যথাযথ শর্ত মেনে করা হয়নি বিধায় তা বাতিল করার পক্ষে-বিপক্ষে মতামতকে পূজি করে আদালতে চলমান মামলার অজুহাতে ২০১১ সালে মেয়াদ শেষ হলেও ৯ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছিলো না ওই পৌরসভায়। তাইতো প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি একাই শাসন করে চলছিলেন পৌরসভাটি। অবশেষে স্থানীয় সরকারের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে করা হলো সাময়িক বরখাস্ত।
প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচীব ফারজানা মান্নান ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মেয়র মোশাররফ পৌর স্বার্থের পরিপন্থি কাজ করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ হলো সরকারী দায়িত্ব পালন না করা,সরকারী নির্দেশনা অমান্য করা, জাতীয় দিবসে অংশগ্রহণ না করা ও এডিপির অর্থ ব্যায়ে অনিয়ম। এগুলো ২০০৯ সালের পৌর আইনের ধারা ৩১, উপধারা ১ এর খ ও ঘ অনুসারে রাষ্ট্রের পক্ষে হানিকর ও ক্ষমতার অপব্যাবহার পর্যায়ভুক্ত। অভিযোগগুলো তদন্ত করেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক। তাদের সুপারিশের ধারাবাহিকতায় মন্ত্রণালয় মেয়র মোশাররফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। পাঠানো জবাব সন্তোষজনক হয়নি। উপরন্তু মেয়র মোশাররফ এডিপির অর্থ ব্যায়ের অনিয়মের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। এমন অবস্থায় পৌর আইন ২০০৯, ধারা ৩১, উপধারা ১ অনুযায়ী মেয়র মোশাররফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাটোর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম রাব্বী জানান, প্রায় ২ বছর আগে তিনি মেয়র মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় নানা চিঠি চালা-চালের মধ্যদিয়ে তাকে বরখাস্ত করা হলো। তিনি বৃহস্পতিবার আদেশের কপি পেয়েছেন বলেও দাবী করেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র মোশাররফ জানান, তিনি এখনও কোন কপি পাননি।
© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply