স্বামীকে না জানিয়েই পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরি নিলে কলহ দাম্পত্য আরও বাড়তে থাকে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় ভ্যানচালকের স্ত্রীর চাকরি করা নিয়ে অসন্তোষ থেকে তর্কাতর্কির জেরে স্বামীর হাতেই খুন হন গৃহবধূ শারমিন। এ ঘটনায় হত্যাকারী স্বামীকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পর বর্ণনায় জানান, প্রায় ২ বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ লহলামারী এলাকার তহুরুল ইসলামের মেয়ে শারমিনের সাথে বিয়ে হয় লালপুরের মাঝগ্রাম দক্ষিণপাড়ার তয়জালের ছেলে ভ্যান চালক সাদ্দাম হোসেনের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এক পর্যায়ে গত ৩ মাস আগে শারমিন স্বামীকে না জানিয়েই পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরি নিলে কলহ আরো বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জানুয়ারি রাতে তর্কাতর্কির জেরে শারমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় সাদ্দাম।
পরে শারমিনের ভাই রিপন আলী গত ২৫ জানুয়ারি লালপুর থানায় হত্যা মামলা করলে মাঠে নামে পুলিশ। অভিযানের এক পর্যায়ে ২৬ জানুয়ারি রাতে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাহপাড়ার ধামাইকান্দি বাজারের পাশে গোপালপুর কয়েট্রা গ্রাম থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, “আসামি সাদ্দাম শারমিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় সাদ্দাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।”
(ঢাকা ট্রিবিউন)
© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply