1. zunaid365@gmail.com : Natore Times :
সংবাদ শিরোনাম :
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে: দুলু সিংড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষ রোপন ও বিতরন তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন: হোয়াইট হাউস ‘দেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই আমার সন্তানের আত্মদান সার্থক হবে’- শহিদ মানিকের বাবা লা লিগা: দারুণভাবে ফিরে এসেও মাদ্রিদের সাথে পেরে উঠেনি আলাভেস দশ বছরের জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের ফের নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা শত শত অবৈধ ব্লাড ব্যাংকে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বিক্রি

জুমআর দিনের যে আমলে জাহান্নাম হারাম

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

জুমআর দিনের অন্যতম একটি আমল মসজিদে যাওয়া। নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওয়ানা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার ওপর রহমত নাজিল হয়। কোনো বান্দা যদি জুমআর আজান শোনার পর পাঁয়ে হেটে মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, ওই বান্দার জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়।

এ কারণেই নামাজের সময় হলে দেরি না করে ধীরস্থিরভাবে মসজিদের দিকে পাঁয়ে হেটে রওয়ানা হওয়া। জাহান্নামকে নিজের জন্য হারাম করে নেয়া জরুরি। হাদিসে এসেছে-
– হজরত আবায়া ইব্‌নু রিফাআ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি জুমআর নামাজে যাওয়র সময় হজরত আবু আব‌স‌ রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, ‌যার দুই পা আল্লাহর পথে (চলে) ধূলি ধূসরিত হয়; আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।’ (বুখারি)

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন নামাজ শুরু হয়, তখন দৌড়ে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে। নামাজে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাআতের সঙ্গে যতটুকু নামাজ পাও আদায় কর। আর যা ছুটে গেছে, তা পরে পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী যে বিষয়গুলো সুস্পষ্ট-
প্রথমত : নামাজে তাড়াহুড়ো করে দ্রুতবেগে না যাওয়া। তবে এমনভাবে মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া জরুরি, যাতে মসজিদে গিয়ে উপস্থিত হতে দেরি না হয়। জামাআতে নামাজ ছুটে না যায়। যদি কোনো কারণে জামাআত নামাজের সময়ও হয়ে যায় তাতেও তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই। তবে জামাআতে যাওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব থাকা জরুরি।

দ্বিতীয়ত : যারা জুমআ আদায়ের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে মসজিদের দিকে ধাবিত হবেন, হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী তাদের জন্য জাহান্নাম হারাম। নামাজ আদায়ে মসজিদের দিকে যাওয়ার সময় প্রত্যেক নামাজির এ নিয়ত রাখা এবং আমল করা আবশ্যক।

তৃতীয়ত : জুমআর নামাজের উদ্দেশ্যে আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁয়ে হেটে মসজিদে যাওয়া জরুরি। জুমআর আজানের পর নামাজের প্রস্তুতি ছাড়া দুনিয়ার বেচা-কেনাসহ কোনো কাজকর্ম করা বৈধ নয়। তাই আজানের সঙ্গে সঙ্গে পায়ে হেঁটে মসজিদের দিকে যাওয়াই সবচেয়ে উত্তম কাজ।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমআর দিন পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার মাধ্যমে জাহান্নামকে নিজের জন্য হারাম করে নেয়ার চেষ্টা করা। শুধু জুমআর উদ্দেশ্যেই নয়, প্রতিদিন জামাআতে নামাজের জন্য নিজেকে মসজিদমুখী করার চেষ্টা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের দিকে পাঁয়ে হেটে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের জন্য জাহান্নামকে হারাম করে নেয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

jagonews24

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com