1. zunaid365@gmail.com : Natore Times :
সংবাদ শিরোনাম :
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে: দুলু সিংড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষ রোপন ও বিতরন তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন: হোয়াইট হাউস ‘দেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই আমার সন্তানের আত্মদান সার্থক হবে’- শহিদ মানিকের বাবা লা লিগা: দারুণভাবে ফিরে এসেও মাদ্রিদের সাথে পেরে উঠেনি আলাভেস দশ বছরের জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের ফের নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা শত শত অবৈধ ব্লাড ব্যাংকে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বিক্রি

তিস্তা সেচ প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ায় ৩ জেলায় স্বস্তি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ মে, ২০২১

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প পাস হওয়ায় রংপুর, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার মানুষের মাঝে স্বস্তি এসেছে। ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা খরচে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর এক হাজার কোটি টাকার বাড়তি ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, তিস্তা ব্যারেজের প্রধান খাল ও সেচ খালের মাধ্যমে প্রতিবছর পানি স্বল্পতার কারণে রংপুর ও দিনাজপুরের কয়েকটি উপজেলাকে সেচ সুবিধা থেকে বাদ রেখে সেচ দেওয়া হতো। ১৯৯৩-৯৪ শস্যবছর থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি উপজেলায় ব্যাপকভাবে আউশ ও আমন উৎপাদনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিস্তার পানি দিয়ে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে ২০০৬-০৭ শস্যবছর থেকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বোরো মৌসুমেও সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হয়। প্রথমদিকে আমন মৌসুমে মোট সেচযোগ্য ৭৯ হাজার ৩৭৯ হেক্টর এলাকার প্রায় সম্পূর্ণটাই সেচের আওতায় আনা সম্ভব হলেও বোরোর ক্ষেত্রে পানির দুস্প্রাপ্যতায় সেচ-সাফল্যের চিত্র ছিল একেবারেই হতাশাজনক। ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনার কথা থাকলেও তা কোনো দিনই সম্ভব হয়নি। তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পে প্রধান খাল ও ৩৪ সেচ খালের মাধ্যমে কৃষিজমিতে সরবরাহ করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো সংস্কার না হওয়ায় সেচ কমান্ডে পানি সরবার করা কঠিন হয়ে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তার সেচ কমান্ড বাড়ানোর প্রস্তাবনা দিলে দীর্ঘদিন পরে মঙ্গলবার প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রংপুর, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ১২ উপজেলার ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টার জমিতে সেচ দেওয়া যাবে।

অপরদিকে, তিস্তা সেচ প্রকল্প সম্পর্কে জানান গেছে, ১৯৪৫ সালের গোড়ার দিকে তিস্তা নদীর পানি সেচ প্রকল্পে ব্যবহারের প্রথম পরিকল্পনা হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর উভয় দেশই আলাদাভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়। ১৯৬০ সালে বিষয়টি নিয়ে প্রথম সম্ভাবনা সমীক্ষা যাচাই হয়। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে সমীক্ষা শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় পাকিস্তান আমলে প্রকল্পটি মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রকল্পটি আবারো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর জমিকে সেচ চাষের আওতায় আনার মহাপরিকল্পনা করা হয়।

১৯৮০ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ব্যারেজ উদ্বোধনের পর প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৫৪ হাজার হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনা হয়। পরে প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমলে এটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ১৯৮৭ সালে ভারত গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাংলাদেশের প্রকল্পটি এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে।

পানিউন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রকৌশলী জৌতি প্রসাদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাজার কোটি টাকার বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com