1. zunaid365@gmail.com : Natore Times :
সংবাদ শিরোনাম :
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে: দুলু সিংড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষ রোপন ও বিতরন তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ড. ইউনূস জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন: হোয়াইট হাউস ‘দেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই আমার সন্তানের আত্মদান সার্থক হবে’- শহিদ মানিকের বাবা লা লিগা: দারুণভাবে ফিরে এসেও মাদ্রিদের সাথে পেরে উঠেনি আলাভেস দশ বছরের জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশের ফের নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা শত শত অবৈধ ব্লাড ব্যাংকে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বিক্রি

বাংলাদেশ পেল আরো ছয় ‘নিজস্ব পণ্য’

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

জামদানি, ইলিশ ও ক্ষীরশাপাতি আমের পর এবার ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন পেল ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কালিজিরা, কাটারিভোগ ও বিজয়পুরের সাদা মাটি। ফলে এগুলোও বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে সব দাপ্তরিক কাজ চূড়ান্ত হলেও শিল্প মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি। আগামী মাসে ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

এ আবহে আজ ২৬ এপ্রিল পালিত হচ্ছে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে অনলাইনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মেধাস্বত্ব ও এসএমই : পরিকল্পনা গ্রহণ ও বিপণন’।

শিল্পসচিব কে এম আলী আজম গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০১৬ সালে দেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানি, ২০১৭ সালে ইলিশ ও ২০১৯ সালে ক্ষীরশাপাতি আম। অনেক লম্বা দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কালিজিরা, কাটারিভোগ ও বিজয়পুরের সাদা মাটি বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সব দাপ্তরিক কাজ চূড়ান্ত হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষে এখনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আগামী মাসের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (সংক্ষেপে জিআই) হচ্ছে মেধাসম্পদের অন্যতম শাখা। কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ওই দেশের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির যদি কোনো একটি অনন্য গুণ-মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের জিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই গুণ-মানসম্পন্ন সেই পণ্য শুধু ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও সাধারণত উৎপাদন করা সম্ভব হয় না।

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধিশালী হলেও দীর্ঘ সময় ধরে জিআই আইন না থাকায় এ দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের মালিকানা সুরক্ষার সুযোগ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। এর পরই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য নিবন্ধনের পথ সুগম হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) দেশের প্রথম ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে জামদানিকে জিআই নিবন্ধন দিয়েছে। এরপর ২০১৭ সালে ইলিশ ও ২০১৯ সালে ক্ষীরশাপাতি আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এবার পেল আরো ছয় পণ্য।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com