নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক কলেজ ছাত্রী(১৯)। দুই দিন ধরে অনশনে থাকায় অসুস্থ হয়ে পরলে ওই ছাত্রীকে আজ গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। তবে প্রতারক প্রেমিক পলাতক থাকায় স্বজনরা ওই ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ওই তরুনী।

শনিবার (২০ মার্চ) বিকেলে ওই তরুনীকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার প্রেমিক তারেক হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার প্রেমিক তারেক হাসানের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন পার্শ্ববতি গজেন্দ্র চাপিলা গ্রামের অনার্স প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু প্রেমিক তারেক পলাতক থাকায় তার স্বজনরা ওই শিক্ষার্থীকে শারিরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অসুস্থ ওই শিক্ষার্থী দুদিন ধরে অনশনে থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান, উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের(মুক্তবাজার) কাচু মন্ডলের ছেলে তারেক হাসানের সাথে মুঠোফোনে তাঁর এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাত্রীর বাসার পাশে তারেকের মাছ চাষের পুকুর থাকায় প্রায়শই নিভৃতে দুজন দেখা করতো। বিয়ের প্রলোভনে একাধিক বার তারেক তার সাথে শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। গত শুক্রকাল বিয়ের আশ্বাসে বাসায় আসার কথা বলে তাঁকে রেখে কৌশলে বাড়ি থেকে তারেক পালিয়ে যায়। তারেক বিয়ে না করলে আত্মহত্যার কথাও জানায় ওই শিক্ষার্থী।

গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শারমিন জাহান জানান,মেয়েটি মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাঁর শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের দু’এক জায়গায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে তারেকের পিতা কাচু মন্ডল ওই তরুণীকে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ছেলে বাসায় আসলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে নেয়া হবে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় ওই তরুণীর পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।