
নাটোরের লালপুর উপজেলার চংধুপইল ইউনয়নের আব্দুলপুরে লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা ও চিকিৎসক পরিচয় দেয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬) নামের এক ব্যাক্তিকে দুই বছরের কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং মোঃ আলমগীর কবির (২৬) নামে আরেক ব্যক্তিকে একজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান লালপুর উপজেলার কামারহাটি গ্রামের মৃত তাছেন আলীর ছেলে এবং আলমগীর কবির বাগাতিপাড়া উপজেলার সাইলকোনা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
শুক্রবার(১২ই ফেব্রুয়ারী) র্যাবের ভ্রাম্যমান শেষে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী শাম্মি আক্তার এই দন্ডাদেশ দেন।
সিপিসি-২ র্যাব নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মোঃ মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত আজ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে ওয়ান ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড চেম্বার এ অভিযান চালায়। এসময় লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড চেম্বার স্থাপন করে কোনরূপ ডিগ্রী না থাকা সত্তেও নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে বে-আইনি ভাবে সেবা গ্রহিতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যের অপরাধে মোস্তাফিজুর রহমান ও আলমগীর কবিরকে আটক করা হয়। এসময় লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা সুরুজ্জামান শামীমের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ভুমি) লালপুর শাম্মি আক্তার মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই বছরের কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অপর আসামি আলমগীর কবিরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
Leave a Reply