নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুকে তার পিএসসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তিনি দারিদ্র বিমোচন ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে জেলায় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পদক পেয়েছেন এক সপ্তাহ আগে। তার পিএসের নাম নুরুল ইসলাম।

সোমবার(৮ই ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নাটোরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো.গোলাম ফারুক চেয়ারম্যান লাবুর জামিনের না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শওকত রানা লাবুর আইনজীবী আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কিছু মানুষের কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার ব্যক্তিগত (পিএস) নুরুল ইসলাম। একটু আশ্রয় পাওয়ার আশায় নিরুপায় হয়ে ওই ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মাঝপাড়া (লক্ষীপুর) এলাকার দিনমজুর মো. জালাল উদ্দিন শেখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। গৃহহীন জালাল তার এক আত্মীয়র কাছ থেকে ওই ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে চেয়ারম্যানের পিএসের হাতে তুলে দেন। জালাল উদ্দিন শেখ বাদি হয়ে গত ১ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার পিএসের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। মামলার কপি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠান। তবে চেয়ারম্যান লাবু হাইকোর্ট থেকে এই মামলায় আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন নেন।

আজ সোমবার আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর লাবু চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।