৫৮ বছর বয়সী ফটিকছড়ির দিনমজুর মো. নুর নবী। জমি-ভিটে কিছু না থাকায় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আর সন্তানদের নিয়ে ‘যেখানে রাত, সেখানেই কাত’ অবস্থা তার।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্যোগ পাল্টে দিয়েছে নুর নবীর দুঃখ-দুদর্শায় ভরা জীবনের চিত্র। ৩ যুগের যাযাবর জীবন ছেড়ে পরিবার নিয়ে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) নুর নবী উঠবেন ‘স্থায়ী ঠিকানা’ নতুন ঘরে।
শুধু নুর নবীর পরিবার নয়। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ হাজার ৬৭০টি গৃহহীন পরিবারকে শনিবার নতুন ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তাদের এসব ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পরিবারে বইছে খুশির বন্যা।
প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ইটের দেওয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি এসব সেমিপাকা ঘরে দুইটি শয়নকক্ষ, একটি খোলা বারান্দা, একটি রান্না ঘর এবং একটি শৌচাগার আছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘর পাচ্ছেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষ। এই জেলার ১ হাজার ৯১টি গৃহহীন পরিবারকে শনিবার নতুন ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের ৪৬৮টি, কুমিল্লার ৩৪৩টি, কক্সবাজারের ৩০৩টি, লক্ষ্মীপুরের ২০০টি, নোয়াখালীর ১৫০টি, ফেনীর ১২৫টি এবং চাঁদপুরের ১১৫টি গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর উপহার পাবেন শনিবার।
আর পার্বত্য জেলার বান্দরবানের ৩৩৯টি, রাঙামাটির ২৬৮টি এবং খাগড়াছড়ির ২৬৮টি পরিবারকে এদিন নতুন ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) খন্দকার জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন সব পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন তিনি।
খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম বিভাগের ৩ হাজার ৬৭০টি গৃহহীন পরিবারকে নতুন ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে নতুন ঘর তৈরি শেষে হস্তান্তর করা হবে।
© স্বত্ত্বঃ নাটোর টাইমস: ২০১৭-২০২৪ --- “নাটোর টাইমস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply